
গত ৩দিনে পটুয়াখালীতে প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সেই সঙ্গে পাল্লা
দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি
হচ্ছে শত শত মানুষ। রোগীর ভীড়ে হাসপাতাল গুলোতে যেন তিল ঠাই নেই অবস্থা বিরাজ করছে।
এদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিট না পেয়ে
মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পটুয়াখালী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলার সব স্বাস্থ্য
কেন্দ্রে হাজারো রোগী রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে গত তিন দিনে প্রায় ৫শ
জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। বেশিরভাগই নারী শিশুসহ বয়োবৃদ্ধ। প্রচন্ড গরমে
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া রোজাদার ব্যক্তিরা একটু স্বস্তির
পরশ পেতে গাছের ছায়া এমনকি নদী পাড়ে এবং খোলা জায়গায় বসে থাকতে দেখা গেছে।
অনেক রোগী ও স্বজনরা জানান, ভ্যাপসা গরমে রোজা রাখতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন
গ্রামে পানিবাহিত রোগও দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সুরমা আক্তারের মা মাহিনুর
বেগম জানান, তার মেয়ে হনুফা বেগম ডায়রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে কলাপাড়া হাসপাতালে
চিকিৎসা দিতে আনেন। কিন্ত রোগীর প্রচন্ড ভীড়ে সিটনা পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে
হচ্ছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং সুপাভাইজার ফৌজিয়া খানম জানান,
প্রতিদিনই শতাধিক রোগীভর্তি থাকে। এছাড়াও জেলার রাঙ্গাবালী,কলাপাড়া,গলাচিপাসহ ৮
উপজেলোর চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে একই অবস্থা বিরাজ করছে। আমারাও রোগীদের চিকিৎসা ও
সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তবে এমন অবস্থায় বেশি পরিমান পানি ও তরল খাবার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার।