
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান সোহেল এর বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা না মেনে নিজের মনগড়া ভাবে ত্রান আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন । সারাবিশ্বে যখন আতঙ্কিত মহামারী করোনা ভাইরাসের সঙ্কটে স্থবির হয়ে পড়ে সারা দেশ , ঠিক তেমনি ভাবে এই মাহামারীর প্রকোপে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় লক্ষ্মীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন করাতে জণগণ হয়ে পড়ে গৃহবন্দী । যার ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরন করার জন্য সুস্পষ্ঠ নির্দেশনা দেন। কিন্তু, সেই নির্দেশনা মানছেনা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৩ নং দালাল বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেল । এই বিষয়ে ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ বাকের গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বলেন, সরকারি ভাবে অত্র ইউনিয়নে এই দুর্যোগের সময়ে সরকারি বরাদ্দের যে ত্রাণ এসেছে, তা সহেল চেয়ারম্যান গরীব,অসহায়,দুস্থদের মাঝে না দিয়ে আত্মসাৎ করছে । তিনি গণমাধ্যকর্মীদেরকে আরো বলেন, সোহেল চেয়ারম্যান বর্তমানে বিএনপির লক্ষ্মীপুর সদর পশ্চিমের সভাপতি হওয়ায় সে তার পালিত চামচাদের নিয়ে এ সকল বরাদ্দ গুলো প্রভাব খাঁটিয়ে গায়ের জোরে আত্মসাৎ করছেন ।যাহা নিয়ম এর বহির্ভূত।
> ৩নং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরজ্জামান মাস্টার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা আওয়ামীলীগের সমন্বয়ে আমরা ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়নের ৯টা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে যোগাযোগ করে একটি ত্রান কমিটির তালিকা প্রস্তুত করেছি । এবং, আমরা সে তালিকা ৩নং দালাল বাজার ইউপি চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান সোহেলের সাথে সরাসরি দেখা করে তার হাতে ত্রান-বিতরণ কমিটির তালিকা তুলে দিয়েছি । কিন্তু, তিনি আমাদের দেয়া তালিকা বাতিল করে নিজের মনগড়া ভাবে তালিকা তৈরি করেছেন, যাহা সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে অমান্য করা হয় । তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত ত্রানের নামে সরকারি যত বরাদ্দ এসেছে তা তিনি কোথায় বিলি করেছেন, তা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মীই জানেন না !!!
> এই বিষয়ে (৫ মে) মঙ্গলবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান সোহেলের নিকট গণমাধ্যমকর্মীরা তার কার্যালয়ে উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে তিনি প্রথমে সাংবাদিক দের মামলা হামলার ভয় দেখান। এবং, কোন তথ্য দেওয়া যাবে না, একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে । একপর্যায়ে রেগে গিয়ে সহেল চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের কোন তথ্যর প্রয়োজন হলে উপজেলায় যোগাযোগ করুন । আমার অন্য কাজ আছে বলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান । একপর্যায়ে সাংবাদিকদেরকে অপমান করেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন ত্রাণ আত্মসাতকারী সহেল।